ঢাকা: হাইকোর্ট মসজিদে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছেলে আমান মমতাজ মওদুদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবীদের উপস্থিতিতে জানাজা হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিশিষ্ট আইনজীবী রকনউদ্দনী আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, এনডিপি’র চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।
এর আগে, মওদুদ আহমদের নিজ জেলা নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আমানের প্রথম নামাজে জানাজা।
এদিকে হাইকোর্টে জানাজা শেষে আমানের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও তার স্ত্রী হাসনা মওদুদসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর আরেক দফা জানাজা শেষে জেলার অম্বিকাপুরে (গোবিন্দপুর) পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কবরের পাশে আমানকে দাফন করা হবে। আমানের বড় ভাই আসিফ মওদুদও নানা জসীম উদ্দীনের কবরের পাশে শায়িত রয়েছেন।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ব্যারিস্টার মওদুদ ও তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ। সেখান থেকে গুলশানের বাসায় নেওয়া হয় আমানের মরদেহ।
বুধবার রাতে আমানকে শেষবারের মতো দেখতে গুলশানের বাসায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মঞ্জুর মোরশেদ খান, এয়ার ভাইস (অব.) মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহম্মদ শাহজাহান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের বড় মেয়ে কাজী জয়া আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনদের দেখানোর পর আমানের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াখালীতে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন আমান মমতাজ মওদুদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে হার্ট অ্যাটাক হয় আমানের।
এরপর অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে ছেলেকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর রওনা দেন বাবা মওদুদ ও মা হাসনা মওদুদ। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভোররাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান আমান মমতাজ মওদুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এজেড/আইএ