ঢাকা: বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বাড়ানোসহ মৌলিক বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ১৪ দলীয় জোটে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করে সরকারের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। কিন্তু এসব বিষয়ে জোটে আলোচনা না হওয়ায় ১৪ দল রাখার কোনো অর্থ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমানে ক্ষমতায় ১৪ দলীয় জোট। তাই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই ১৪ দলীয় জোটে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
বাদশা বলেন, জোটে কোনো আলোচনা না করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাহলে তো ১৪ দলীয় জোট রাখার কোনো অর্থই দাঁড়ায় না।
‘দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি তেল নির্ভর। গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমেছে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশই তেলের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কমানো হয়নি। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি করা হলে, জ্বালানি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা তেলের দাম না কমানোর হুংকার দেন। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’- মন্তব্য ফজলে হোসেন বাদশার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সিএনজি ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এই আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধি কারোই কাম্য ছিল না। ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণায় সরকার মালিকদের স্বার্থই রক্ষা করে গেলো, সাধারণ মানুষের নয়।
জনগণের সংকট নিরসনে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ওয়ার্কার্স পার্টি নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান ফজলে হোসেন বাদশা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, কামরুল আহসান, মোস্তফা আলমগীর রতন, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মাহমুদুল হাসান মানিক, ইসলাম গোলাপ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
এসকে/আইএ