ঢাকা: দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় দুটি রাজনৈতিক দলের (বিএনপি-জামায়াত) চিহ্নিত নেতাদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর দেওয়া বক্তব্যেও উদ্ভূত ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃংখলার অবনতি, উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মাঠে নেমেছে একটি চক্র।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে অগ্নি সন্ত্রাসে ব্যর্থ হয়ে একটি চক্র দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মাঠে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পর পর দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
খুব শিগগিরই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হবেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য আরো স্পষ্ট। গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিদেশি দুই নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি দুই নাগরিক হত্যার পর থেকেই দুটি রাজনৈতিক দলের সন্দেহভাজন নেতা ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন কর্মীকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
তবে এই নজরদারির বিরোধিতা করে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটন না করে জোর করে অন্যের উপর দায় চাপিয়ে দিলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। সরকারের এমন বক্তব্য উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো।
মাহবুব বলেন, দেশের স্বার্থে সরকারের উচিত, সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের একটি পথ বের করা। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার আহবান জানান মাহবুব। বিদেশি দুই নাগরিক হত্যার রহস্য উদঘাটনে দ্রুত কাজ করারও আহবান জানান তিনি।
জেনারেল মাহবুব বলেন, ইতালি ও জাপানি নাগরিক হত্যার পর দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত সংগঠনগুলো নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা ভালো নয়। বিদেশি দুই নাগরিক হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে, দেশে কেউ নিরাপদে নেই।
বাংলাদেশ: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
এমএম/জেডএম