ঢাকা: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারির আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে ব্রিবতবোধ করেছেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর বেঞ্চে এ রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ১২ নভেম্বর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চে এ রুল শুনানিতে একজন বিচারপতি বিব্রত বোধ করেন। নিয়ম অনুসারে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি মামলাটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করবেন।
অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা নিজাম হাজারির বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
ওই সময় রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, একটি জাতীয় দৈনিকে এসেছে, নিজামউদ্দিন হাজারি একটি অস্ত্র মামলায় সাজা কম খেটেছেন। এক্ষেত্রে তিনি হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
এছাড়াও সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে রয়েছে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ-সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তি পওয়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।
নিজাম হাজারি ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানায় হওয়া মামলায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে এই সাজা দিয়েছিলেন। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে বলা হয়। অর্থাৎ ১০ বছর সাজা ভোগ করবেন নিজাম হাজারি।
সে হিসেবে তিনি ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। অথচ তিনি সাজাও কম খাটেন, আবার সংবিধানও মানেন নি। তাই তার পদ অবৈধ।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ফেনীর যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
ইএস/জেডএস