ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জামার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) আচরণবিধি লঙ্ঘনের মহোৎসব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিভিন্ন এলাকায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের প্রত্যাহার দাবি করছি। যেসব জায়গায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে এবং বিএনপির প্রার্থীদের মনোনায়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে সেসব এলাকায় নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা সরকারের ইশারায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কি ব্যবস্থা নেয় দেখতে চাই।
রিপন বলেন, ঢাকার ধামরাই, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, ভোলার দৌলতখান, যশোরের কেশবপুর, বরগুনার বেতাগী পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
শাসকদলের নিরপেক্ষতার অভাবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে কিনা- এ নিয়ে জনগণের মনে সংশয় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিত্য-নতুন সংশোধনী এনে নির্বাচনের পরিবেশ আরও কঠিন করে তুলেছে। অভিযোগ করেন তিনি।
কোনো কোনো জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বাধা ও মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিপন বলেন, ফেনী সদর, দাগনভূঁইয়া, পরশুরাম পৌরসভার ৩৩টি কাউন্সিলর পদে অন্য কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা।
রিপন বলেন, আমরা আগেই সারদেশে গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলা থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) যৌথবাহিনী ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এতে এলাকায় নির্বাচনের পরিরর্তে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া নীলফামারীতে ৪৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫/আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা
এমএম/এএ