ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১০ জানুয়ারি বাঙালির ঐতিহাসিক দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
১০ জানুয়ারি বাঙালির ঐতিহাসিক দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। সারা বাংলার মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপন মাটিতে ফিরে এসেছিলেন এই দিনে।

আমরা দল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের দিন জনসভা করিনি কারণ বিশ্ব ইজতেমা ছিল।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন।

এতে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন অপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেই সেই স্বাধীনতা পূর্ণ হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশেই সাধারণ মানুষ যুদ্ধে নেমে পড়েন। ২৫ মার্চ রাতে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে হানাদাররা। তখন ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে ইপিআরের ওয়ার্লেসের মাধ্যমে সারাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি।

সমাবেশে এর আগে বক্তব্যে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি যিনি একটি জাতিকে তৈরি করেছেন। তিনি বলেছেন যখন, তখনই- ভারতীয় সৈন্য এদেশ ছেড়ে চলে যায়। এটি তিনি পেরেছিলেন মহান নেতা বলেই।

আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বঙ্গবন্ধুকে দেখে লিখেননি। কিন্তু তিনি অনাগত ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাকে আরও সময় দিতে হবে। তাকে আরও এক টার্ম নয়, কয়েক টার্ম সময় দিতে হবে। আরও কয়েকটা টার্ম তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার।
 
‘এটি শেখ হাসিনার জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের  মানুষের জন্য, উন্নয়নের জন্য’।

‘বঙ্গবন্ধুকে কেউ দমাতে পারেনি আর শেখ হাসিনাকেও কেউ দমাতে পারবে না,’ বলেন তিনি।

বিএনপি ও সেই দলের চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, দল ভাঙ্গে আপনার, জোট ভাঙ্গে আপনার, আর বলেন দেউলিয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ। যত দিন এই দলে (বিএনপি) আপনি (খালেদা জিয়া) এবং আপনার ছেলে (তারেক রহমান) থেকে যাবেন/সরবেন না ততদিন আপনাদের লাইন বদলাবে না।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে ষড়যন্ত্র থেমে নেই, শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র দূর করে সোনার বাংলা গোড়বো।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬/আপডেট ১৮০০
এসকে/এমএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।