ঢাকা: বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও পাঠ্য বইয়ে ইসলাম বিদ্বেষী গল্প-কবিতা, সংযোজন করায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। একই সাথে এ শিক্ষানীতি বাতিল, ইসলামী ভাবধারার প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প কবিতা পুন: প্রতিস্থাপিত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইসলাম বিনাশী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি করা হয়।
সংগঠনের মহাসচিব মুফতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, যে দেশে ৯২ শতাংশ সেদেশে ইসলামকে ধ্বংস করতে নাস্তিকদের দিয়ে বিতর্কিত শিক্ষানীতি করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদরা আ.লীগের ভেতর ঘাপটি মেরে আছে আ.লীগকে ধ্বংস করার জন্য। এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে তিনি ইসলামকে ধ্বংস করবেন। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা বলেন। এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে যাতে আঘাত না লাগে এজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিন।
এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে মুফতি আমিনীর লাখ লাখ সৈনিক প্রয়োজন হলে আগামীকাল থেকে আন্দোলনে নেমে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে হেফাজতের ৫ লাখ সৈনিক এসেছে। মুফতি আমিনীর ১ লাখ ছাত্র রয়েছেন, প্রয়োজন হলে এ শিক্ষানীতি ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগে এই এক লাখ ছাত্র কোটি তাওহীদি জনতাকে নিয়ে মাঠে নেমে যাবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. ইসরা শাহীন বলেন, এখন আর দলে দলে নয় গ্রাম থেকে তাওহীদি জনতাকে একত্রিত করে আন্দোলন শুরু করতে হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার আর থাকবে না। তিনি পাঠ্যপুস্তকে ১শ নম্বরের ইসলাম শিক্ষা বহালসহ ইসলাম বিরোধী সকল প্রবন্ধ বাতিলের দাবি জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিল ও পাঠ্য বইয়ে ইসলামী ভাবধারার প্রবন্ধ-নিবন্ধ সংযোজন ও ইসলামী পটভূমি বহাল রাখা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সভায় সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা একেএম আশরাফুল আলম, মাওলানা আবুল কাশেম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
আরইউ/সাব্বির/আরআই