ঢাকা: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিএনপিতে আসলাম চৌধুরীর প্রমোশন হয়েছে- এমন মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সেখান থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতাদের উপেক্ষা করে খালেদা জিয়া আসলাম চৌধুরীকে সরাসরি দলের যুগ্ম মহাসচিব বানিয়েছেন।
‘এর পেছনে দু’টো কারণ আছে। প্রথমত ইসরাইলের সঙ্গে কাজ করার জন্য পুরস্কার হিসেবে, অপরটি হলো ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন যে টাকা বিএনপির নেতাদের মধ্যে হয়তো ভাগ হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো সেই চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কত করে পেয়েছেন?’
তিনি বলেন, মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে যখন আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের সচিত্র খবর প্রকাশ করা হয় তখন বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম চৌধুরী যখন স্বীকার করেন তখন বিএনপি মুখে কুলুপ দেয়।
‘আসলাম চৌধুরীর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে স্বীকার করেছেন, দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশেই তিনি ইসরাইলি প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর মোসাদের সে এজেন্টের অবস্থা ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না সে অবস্থার মতো। [’
ড. হাছান বলেন, আসলাম চৌধুরী যে কেবল ভারতের বিভিন্ন শহরে ইসরাইলি এজেন্টের সাথে বৈঠক করেছেন তা নয়, তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ইসরাইল সফরও করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, নির্বাচন এলেই খালেদা জিয়া কড়া মুসলমান হয়ে যান। অথচ মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশীদ, বলরাম পোদ্দার, হাসিবুর রহমান মানিক, এম এ করিম, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
এমএ/