নাটোর: আগামী ৪ জুনের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর নির্বাচনী অফিস ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা ১০/১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণও করে।
রোববার (২২মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জামনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি প্রার্থী গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করে বলেন, আগামী ৪ জুনের নির্বাচনে বাগাতিপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করে জমা দিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস ও তার সমর্থকরা তাকে নির্বাচন না করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় জামনগর বাজারে তার এক সমর্থক মাইক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় ১৫/১৬ জনের একদল যুবক ওই মাইক ভাঙচুর করেন। এসময় ওই বাজারেই তার নির্বাচনী অফিসে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের কাউকে না পেয়ে টিভি, চেয়ারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও ব্যানার, পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় তারা একটি মোটরসাইকেলও নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া গুলিবর্ষণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ফরহাদ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গুলিবর্ষণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন রাউন্ড গুলির খোসা পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দু’পক্ষের বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার জন্য তার লোকজন জড়িত নয়। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে নিশ্চিত হেরে যাবেন বুঝতে পেরে নিজেই তার লোকজন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে তার ওপর দায় চাপিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
আরএ