ঢাকা: অতীতের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন গুলোতে ঘটে যাওয়া সকল সহিংসতার রের্কড অতিক্রম করেছে এবারের ইউপি নির্বাচন এমন দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
চলমান ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০১ জনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
তিনি জানান, ব্যাপক রক্তক্ষয় ও অনিয়মে এবারের ইউপি নির্বাচন অতীতের সব রের্কড অতিক্রম করেছে। নির্বাচনী সহিংসতা হতাহতের বিষয়টি মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সহিংসতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দিলীপ কুমার বলেন, অতীতের ইউপি নির্বাচনের প্রাণহানির তথ্যে দেখা যায় ১৯৭৩ ,১৯৭৭, ১৯৮৩ ও ১৯৯২ সালে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ১৯৮৮ সালে ৮০ জন, ১৯৯৭ সালে ৩১ জন, ২০০৩ সালে ২৩ জন ও ২০১১ সালে ১০ জন নিহত হয়েছে।
অতীতের নির্বাচনগুলোর মধ্যে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিলো।
ইতিমধ্যে চার ধাপের নির্বাচনে ১০১ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে যে কোন মূল্যে জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাই সহিংসতার বড় কারণ। সেই সঙ্গে আচরণবিধি ভঙ্গ করে পার পাওয়ার কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কখনই কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি।
এবারের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যও ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য হত। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে হারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
এ সময় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে যা অনিয়ম ঘটছে তা অনেকটা গা সয়ে যাচ্ছে। এ রকম হলে তা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
সুজনের সরবরাহকৃত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের সংবাদ থেকে নেওয়া বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজনের সহ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৩২৫ ঘন্টা, মে ২৬, ২০১৬
এমসি/আরআইএস/আরআই
** ইউপি নির্বাচন ‘শহীদি নির্বাচন’ বললেন আবুল মকসুদ