কুষ্টিয়া: এক বছর পর আসামির দেওয়া তথ্যমতে কুষ্টিয়া কুমারখালীর গড়াই ইটভাটার মালিক ও বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে কুমারখালী থানা পুলিশ লাহিনীপাড়া মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর পাশে গড়াই নদীর তলদেশের বালু সরিয়ে মিরাজের মরদেহের কঙ্কালের কিছু অংশ উদ্ধার করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ৪ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মিরাজ তার ব্যবসায়ীক পার্টনার কোহিনুরের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে লাহিনীপাড়া বটতলা মোড়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পরের দিন ৫ জুন মিরাজের স্ত্রী শখি খাতুন কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে সেটি মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের। পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ড সর্ম্পকে নিশ্চিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নয়জনকে শনাক্ত করে সাতজনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে এদের মধ্যে ছয়জন জেলহাজতে, একজন জামিনে এবং বাকী দুইজন পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে সলেমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিরাজ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে বুধবার রাতে গড়াই নদীর বালুর তলদেশে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর মিরাজের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
ওসি জিয়াউর রহমান আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান ও তার ভাই আর্দশ কলেজের অধ্যক্ষ আলতাফ এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু জানান, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও লাহিনীপাড়ার মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
আরএ