নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ‘ওয়ান ইলেভেন ও বিএনপি-জামায়াতের দোসর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা আগামী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মহানগর আওয়ামী লীগের মুলতবি বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
শহরের বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে সকাল দশটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা মুলতবি বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। এর আগে গত ১৬ জুলাই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সভায় মেয়র আইভী ইস্যুতে নেতাকর্মীরা তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। তারা মেয়র পদে আইভী কোনোভাবেই যেন দলের মনোনয়ন না পান, সেদিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। তারা বলেন, ‘আইভী আওয়ামী লীগের কেউ নন। তার মনোনয়ন ঠেকাতে হবে আর সেজন্য আমাদের সকলকে এক থাকতে হবে। এখন থেকেই আমাদের ত্যাগী নেতাকর্মীদের একত্রিত হতে হবে’।
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে মহানগরের সভাপতি পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাই তিনিই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হবেন। আর ওই নির্বাচন হবে আন কনটেস্ট। বিএনপির প্রার্থী কে হন আমি দেখবো। তবে আনোয়ার ভাই আন কনটেস্ট পাস করবেন, এটা নিশ্চিত’।
আনোয়ার হোসেন সভাপতির বক্তব্যে সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতার কথা জানান।
সভায় অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি গোপীনাথ দাস, মাসুদুর রহমান খসরু, সামসুজ্জামান খান ভাষানী, রোকনউদ্দীন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার মালা, জাকিরুল আলম হেলাল, জি এম আরাফাত, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের আহবায়ক এনাজুর রহমান চৌধুরী, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এম এ রশিদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম চৌধুরী, রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, আহসান হাবিব, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা পিপি অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আসিফ হাসান মানু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, নাসিকের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, ফয়সাল মো. সাগর, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, মোহাম্মদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, আলী হোসেন আলা, কামরুল হাসান মুন্না, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাছরিন, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এএসআর