ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান দেশে ফিরলে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তারেকের অনুপস্থিতিতে এক তরফাভাবে রায় দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী কথা বলতে পারেন নি। এখন তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। যেদিন তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন, সেদিন আমরা আপিল করব। আমরা আশাবাদী, আপিল করলে এই সাজা টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষ জানবে, তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে গাজীপুরের টঙ্গিতে একটি বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় হারবিন পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের বাংলাদেশি এজেন্ট নির্মাণ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কনসালটেন্সি ফি বাবদ সাড়ে ৭ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করে। এই অর্থ সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেন-দেন হয়।
এই লেন-দেনের সঙ্গে তারেক রহমানের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে তিনি বলেন, যে অর্থ লেন-দেন হয়েছে সেটি দেশের বাইরে হয়েছে। এটি চায়না হারবিন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি তাদের বাংলাদেশি এজেন্ট নির্মাণ ইন্টারন্যাশনাল মাধ্যমে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দিয়েছেন। বিষয়টি দুদকের স্বাক্ষী হিসেবে নির্মাণ ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী খাদিজা ইসলাম আদালতে লিখিত স্বাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানকে ফাঁসানোর জন্যই এই রায় দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যখন কোনো জাতীয় ইস্যু সামনে আসে, ঠিক তখনই চমক সৃষ্টির জন্য সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একেকটা ব্যবস্থা নেয়।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কনসালটেন্সি ফি বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে চায়না কোম্পানি যে টাকা দিয়েছিল, সেখান থেকে সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তারেক রহমান মাত্র ১৯ লাখ টাকা খরচ করেছেন। সে টাকা পরবর্তী সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ফেরতও দিয়েছেন তিনি। তাহলে মানি লন্ডারিং করলেন কীভাবে?
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবু হোসেন, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
এজেড/বিএস