ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাস করে কিছু করতে না পেরে এখন জঙ্গিবাদের কথা বলে দেশকে '69' করে দিতে চান। পরিস্থিতি উলট-পালট করে দিতে চান।
শুক্রবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাদের শরিকরা জঙ্গিবাদের জন্য সংলাপের কথা বলে দেশকে ‘69’ করে দিতে চায়। পরিস্থিতি উলট-পালট করে দিতে চায়। আগুন সন্ত্রাস করেও পারেনি, তাই এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকেই তাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য বলছেন। তো উনার সঙ্গে আলাপ করলেই জঙ্গিবাদ নিমূর্ল হবে? তাহলে কি তিনিই এসব করছেন? সংলাপ করেই যদি সমস্যার সমাধান হয়, তবে তো হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি'র সঙ্গেও আলাপ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ফ্রান্স, আমেরিকাতে কি গণতন্ত্র নেই? সেখানেও তো জঙ্গি হামলা হচ্ছে। কাজেই এখানে এসব বিষয় করানো হচ্ছে। আপনারা যা দেখছেন তা উস্কিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শিক্ষকদের শিক্ষক। কাজেই মানসম্মত শিক্ষা দিলে কেউ বিপথগামী হবে না। দেশকে সামনে রেখে কাজ করলে দেশের কান্নাও বন্ধ হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ বলেন, পিটিআইয়ের দায়িত্ব হচ্ছে পেশাদরিত্ব সৃষ্টি করা। সরকারের চেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। তবে সংখ্যাটা বাড়লেও শিক্ষার মান হয়তো তেমন বাড়েনি। তবে মানসম্মত শিক্ষার দিকে সরকার এবার হাতে দিয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষিত তবে দক্ষ নয়। যা এক সময় তৃতীয় শ্রেণি পাশ করা শিক্ষকদের মাঝে ছিল। আগে মাস্টারের নামে স্কুল চিনত সকলে। কিন্তু এখন নেই। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সচিব বলেন, শিক্ষাটা মানসম্মত না হলে শিক্ষার্থী মানবিক গুণাবলী, নৈতিকতা, মূল্যবোধও বিকশিত হয়না। যেজন্য তারা জঙ্গিবাদসহ নানাভাবে বিপথমাগী হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আরো কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
ইইউডি/বিএস