ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বেচ্ছায় অব্যহতি চেয়েছেন কয়রার ছাত্রলীগ নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৬
স্বেচ্ছায় অব্যহতি চেয়েছেন কয়রার ছাত্রলীগ নেতা  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ স্বেচ্ছায় অব্যহতি চেয়েছেন।

 

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জামাতপুষ্ট, অছাত্র, চাঁদাবাজ, প্রকাশ্যে ঘের দখল এবং অনৈতিক কার্যক্রমের কারণে মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে  সাইফ  অব্যহতি চাওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, অব্যহতিপত্র জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেওয়া হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, অছাত্র, বিবাহিত, জামাতপুষ্ট ও বিতর্কিত কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন মনোনীত হওয়ার পর ছাত্রলীগের মূল ধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ অরাজনৈতিক, জামাতপুষ্ট, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, ঘের দখলসহ সংগঠন পরিপন্থি নানা অপকর্মে  লিপ্ত হয়েছেন। কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের কার্যালাপে অতিষ্ঠ কয়রার সাধারণ নিরীহ জনগণ’।

তিনি আরও বলেন, ‘কয়রায় জামায়াতকে পুনর্বাসন এবং প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হয়রানির মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ সকল সংগঠনকে ধ্বংসের হলিখেলায় মেতেছেন বর্তমান কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থা নিয়ে  নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের  প্রকাশ্যে মারধর, ভয়-ভীতি, হুমকি, বাড়িছাড়া করতে বাধ্য করেছিলেন তারা। তাদের অপকর্মের শিকার হচ্ছেন কয়রার নিরীহ মানুষ। সম্পূর্ণ জামায়াতের মদদে শিবির সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নিয়ে প্রকৃত ছাত্রলীগ ধ্বংস ও অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি। কয়রা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা তাদের অপকর্ম চলমান রেখেছেন। বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে একাধিকবার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি’।

সাইফ বলেন, ‘বর্তমান কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের অপরাজনীতি, জামাতপুষ্ঠ ও দখলবাজ, অছাত্র দিয়ে ছাত্র রাজনীতি ফলে সাধারণ মানুষের বিদ্ধুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ও বর্তমান কমিটির নেতাদেরকে ধিক্কার জানাচ্ছে। যা ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মী হিসাবে আমি মর্মাহত। আমি এমন অপরাজনীতিতে কোনোদিন বিশ্বাসী নই। তাই আমি সুস্থ মস্তিষ্কে আমার পদ (সিনিয়র সহ সভাপতি) থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। পাশাপাশি কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের পকেট কমিটি, জামায়াতপুষ্ট এবং অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’।

এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি  মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন,  ‘সাইফ যে অভিযোগ করেছেন, তার সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৬
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।