ঢাকা: জঙ্গিবাদের অবসান এখন সময়ের ব্যাপার। কেননা মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাতে জঙ্গিবাদের অবসান ঘটাতে খুব বেশি সময়ের বাকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘রক্তস্নাত আগস্ট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এ গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৭১ এর ঘাতকদের বিচার শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিচার কার্যক্রম শেষও হয়েছে। ভবিষ্যতে যে কয়েকটি বিচার কার্যক্রম বাকি আছে তাও শেষ হবে। এছাড়া ৭১ এ যেভাবে নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হয়েছিলো, এখনও সেই একইভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু এ হত্যার একটাই উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে ঘায়েল করা। কিন্তু যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তাকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বাজার কমিটির মতো ৫০২ জনের কমিটি গঠন করা দল বিএনপি ঐক্যের কথা বলে। যারা মানুষ মেরে ঐক্যের কথা বলে, তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য নয়। ঐক্য তো জনগণের সঙ্গে, যা অনেক আগেই হয়ে গেছে। আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের শত্রু তারাই, যারা জঙ্গিবাদকে আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। বাংলাদেশর উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করা। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নকে দমাতে পারবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান বানাতে চায় বিএনপি-জামায়াত। কিন্তু তাদের এ ঘুমে দেখা স্বপ্ন কখনো স্বার্থক হবে না। কেননা দেশের জনগণ এখন তাদের ঘৃণা করে। এর একটি কারণ, মানুষ এখন আর নৃশংসতা দেখতে চাই না। তারা শান্তি চায়, যা ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেজবাহুর রহমান বলেন, বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। এখন আর মেসে মেসে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ তারা এখন জামায়াতের টাওয়ারে অবস্থান করছেন। এদেশে জঙ্গিবাদের জনক জামায়াত-বিএনপি। তাদের জন্য দেশ এখন অশান্তিতে ভুগছে।
শেখ হাসিনার কন্ঠকে রোধ করার ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন দেখে তাদের হিংসা হয়। তাই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা শেখ হাসিনার কন্ঠকে রোধ করতে চান। কিন্তু দেশের আপামর জনগণ থাকতে সেটা সম্ভব নয়। জামায়াত-বিএনপি রাজনীতি করার যোগ্যতা রাখে না। যারা দেশের মানুষের শান্তি চাই না। তারা চায় নিজেদের আখের গোছাতে।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায়, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ কামাল, রাজধানীর স্টেট কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ারা ইসলাম, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৬
এসজে/এসএইচ