ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও পাঁচ মামলা আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে আট মামলাই আমলে গৃহীত হলো।
বুধবার (১০ আগস্ট) খালেদার উপস্থিতিতে নাশকতার ওই পাঁচ মামলার অভিযোগ আমলে নেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হাসান মোল্লার আদালত। এর আগে গৃহীত হয়েছিল একই থানার আরও তিন মামলা। তাকে আট মামলায়ই পূর্বশর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আগামী ১০ অক্টোবর আট মামলায়ই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা থানার ৬২ (১) ১৫, ৫ (২) ১৫, ৬ (২) ১৫, ৮ (২)১৫, ১২(২)১৫, ২৯(২)১৫, ৩১(২)১৫ ও ৩(৩)১৫ নম্বরের মামলাগুলোতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন খালেদা।
এর আগে খালেদার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। এ মামলায়ও তাকে পূর্বশর্তে জামিন দিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
ওই ৯ মামলাসহ রাষ্ট্রদ্রোহিতা, নাশকতা ও দুর্নীতির মোট ১২ মামলায় পর্যায়ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন নিম্ন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন খালেদা।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান তিনি। এরপরই ঢোকেন এজলাসকক্ষে। এর আগেই ১২ মামলায়ই বিভিন্ন আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরা দাখিল করেন তার আইনজীবীরা।
৯ মামলার শুনানি শেষ হলে খালেদা জিয়া হাজিরা দেবেন বিশেষ জজ-২ হোসনে আরা বেগমের আদালতে। সেখানে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি হবে।
এরপর বিশেষ জজ-৯ আমিরুল ইসলাম মোল্লার আদালতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় নিয়মিত হাজিরা দেবেন তিনি।
সবশেষে দারুল সালাম থানার নাশকতার ৪(৩)১৫ নম্বর মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিন চাওয়া হবে। সেটিতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হলে বাসায় ফিরবেন বিএনপি প্রধান।
এর আগে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন বিএনপি প্রধান।
এদিকে খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার জনসন রোড, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ পুরো আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
এমআই/এএসআর