ঢাকা: নবম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে যারা ট্রাইব্যুনালে গিয়েও আশানুরূপ ফলাফল পাননি, তারা এবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে যেকোনো সংক্ষুব্ধ প্রার্থী পুরো ভোট বাতিলের জন্য আপিল করতে পারবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে তফসিল ঘোষণা করে জুন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ফলাফল যেকোনো প্রার্থীর মনের মতো না হলে, তিনি ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেখানেও যারা সঠিক বিচার পাননি বলে মনে করেন, তাদের জন্য এবার আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করলো ইসি।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি আপিল ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এক্ষেত্রে ৬৪ জেলার প্রতিটিতে যুগ্ম জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
ইসির আইন শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাইব্যুনালে ইউপি নির্বাচনের সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ফলাফল বাতিল চেয়ে নিজেকে জয়ী ঘোষণা, সামগ্রিকভাবে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় নির্বাচন বাতিল এবং নির্দিষ্ট কোনো ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটের জন্য মামলা করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে হয়। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সে নিষ্পত্তি নিয়েও সন্তুষ্ট না হলে, আপিল ট্রাইব্যুনালেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। আপিল কর্তৃপক্ষ তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেয়।
এবার দেশের প্রায় হাজার ইউপিতে ছয় ধাপে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। গত ২২ মার্চ প্রথম দফায় এবং ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরপর ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার, ৭ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ করেছে ইসি। মাঝে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ করে ৪ জুন ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নবম ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।
**ভোট বাতিলে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস