নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন খান মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
প্রার্থীরা হলফনামায় নিজেদের সম্পদের হিসাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। হলফনামায় দেখা যায়, বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের সম্পদের পরিমাণ ৯৭ লাখ টাকা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সম্পদের পরিমাণ তার প্রায় অর্ধেক।
ব্যাংকে থাকা অর্থ ও নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেকট্রনিক পণ্য, আসবাব পত্র এবং পরিবারকে ঋণ দেওয়া বাবদ আইভীর রয়েছে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ। এর বাইরে যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষি জমির আট ভাগের একভাগের মালিক তিনি।
পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালে পৌর মেয়র থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করেন আইভী। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সম্পদ দেখিয়েছিলেন ব্যাংকে জমা ১০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার বাবদ ৩০ হাজার টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে আইভীর বার্ষিক আয় ছিল ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইভীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
অপরদিকে সাখাওয়াত ও তার স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯৭ লাখ ৫ হাজার ১৩৭ টাকা। সাখাওয়াত হোসেন বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৯ টাকা। আর ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে সুদ হিসেবে আসে ৩ হাজার ৮০১ টাকা। নগদ অর্থ, যানবাহন, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেকট্রনিক পণ্য, আসবাব পত্র এবং ব্যবসার মূলধন মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৯ টাকা। তার স্ত্রীর রয়েছে ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদ। নারায়ণগঞ্জে জমি আছে সাখাওয়াত ও তার স্ত্রী নামে। দুজনের জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাতখুন মামলায় নিহতদের পক্ষে লড়াই করে পরিচিতি পাওয়া সাখাওয়াত এ পর্যন্ত চার মামলায় আসামি হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে দুটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। বিচার চলছে একটি মামলার, আর একটি তদন্তের পর্যায়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
এমজেএফ/