বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মুনীর চৌধুরী সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘পাঠ্যপুস্তক কেলেঙ্কারি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক।
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবুল হাসান রুবেল, প্রাথমিক শিক্ষা গবেষক দিলশানা পারুল, লেখক-গবেষক সাখাওয়াত টিপু, সংহতি প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী দীপক রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ, বাগাছাস ঢাকা মহানগরের সভাপতি অলিক মৃ।
মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের সময়ে আমরা শিখতাম ক্লাসরুমে, যেতাম লাইব্রেরিতে ও সময় কাটাতাম ছাত্র সংসদে। কিন্তু বর্তমান পুঁজিবাদী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মানস কাঠামো খুব সুকৌশলে গড়ে তোলা হচ্ছে ক্ষমতাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য।
অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, জাতীয় সংসদে যে ভাষায় মন্ত্রী-এমপিরা রসিকতা করেন, পাঠ্যপুস্তকে সে আলোচনাই হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত ভুল। আমাদের রাষ্ট্র একটা মুখস্ত প্রজন্ম চায়। এ অবস্থা ভাঙতে হলে আমাদের একটা শিশু উপযোগী শিক্ষানীতি তৈরির সংগ্রাম বেগবান করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসান রুবেল বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ভুল আসলে সরকারের তথাকথিত মিলেনিয়াম ডেভেলমেন্ট গোল বাস্তবায়নের অংশ। এই শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের ৪৭ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত তরুণকে বেকার করে রেখেছে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত মল্লিক বলেন, একটি শিক্ষা কনভেনশন করে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রশ্নে একটি রূপরেখা তৈরি করা জরুরি, যা শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমন্বয়ে করতে হবে।
তিনি মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে একটি জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ গঠন করার প্রস্তাব রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ