বোরবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমারা সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, মানুষকে ভালবাসতে শিখুন। রাজনীতিতে মানুষের ভালোবাসা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। এসময় তিনি নিজের উদাহরণ টেনে বলেন, আদর্শের রাজনীতি করলে একদিন না একদিন মূল্যায়ন পাবেন। ত্যাগের মূল্যায়ন হবেই। যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগে দিন দিন নেতা বাড়ছে কর্মী কমছে। তাই কর্মী বাড়াতে হবে। তবে দলভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে টানবেন না। কোথাও কোন পকেট কমিটি করবেন না। দলে কোন প্রকার কোন্দল সহ্য করা হবে না।
তিনি আগামী নির্বাচনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, দলকে সুসংগঠিত করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করার পর খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি যখন সার্চ কমিটি দিলেন তখন তারা বেজার হলেন। সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। সার্চ কমিটি দেওয়ায় ফখরুল অখুশি হলেও মওদুদ আশাবাদী। এ নিয়ে তাদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুনশি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুসহ ৮ জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকবৃন্দ।
কর্মী সমাবেশে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
আরএ