শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা ও নগর কমিটির আয়োজনে ‘জঙ্গির রাজনৈতিক সঙ্গী বর্জন ও বিচার কর, দুর্নীতি ও বৈষম্যের অবসান কর, সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়’-এই স্লোগানে জাসদের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে এখনও জঙ্গি দমনের যুদ্ধ চলমান।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে কোনোভাবেই হয়রানি করছে না। আদালতে মানুষ খুনের হুকুমদাতা আর দুর্নীতি করার জন্য মামলা চলছে।
এসময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা কি জঙ্গির সঙ্গী, যুদ্ধপরাধীদের সহায়তাকারী, দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়াকে দেখতে চান, নাকি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান, সেটা ভাবতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে বলেও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিশ্ব ব্যাংক হাতগুটিয়ে নেওয়ার পরও শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করছেন। ২০১৯ সালের আগেই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা। এ আট বছরে আমরা রাজাকারের দিকে চোখ রেখেছি, উন্নয়নও করেছি। মানুষের দিকে তাকিয়েছি। খাদ্য, পানি, বাসস্থান আর ৩৫ কোটি বইও দিয়েছি।
বরিশাল জেলা ও মহানগর জাসদের আয়োজনে মহানগর জাসদের সভাপতি মজিবুল হকের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, বরিশাল বিভাগে শেখ হাসিনার আমলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। অনেক বদলে গেছে এ বিভাগ। এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের লোক হতাশায় ভেঙে পড়েছিল। যখন পদ্মাসেতুর কাজে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিতে অনাস্থা প্রকাশ করে। কিন্তু এখন পদ্মাসেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
অনেকে বলেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না। রায় দিলেও ফাঁসি দিবে না। কিন্তু বড় বড় রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। শেখ হাসিনা আর ইনুর সঙ্গে রাজাকারের কোনো খাতির নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, হাবিবুর রহমান, বরিশাল জেলা কমিটির সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হাই মাহাবুবসহ পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠী জেলা থেকে আসা জাসদের নেতারা এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমএস/এসআই