শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে মাস্টরদা সূর্য সেন হলের সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধনকালে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকলে কোনো প্রভাবিত হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি গত ৩৬ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেখছি।
আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা। নির্বাচনে কমিশনের বেধে দেয়া টাকার চেয়ে বেশি খরচ করা কিভাবে বন্ধ করবে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকাল ছাত্রনেতাদের হলের থাকার প্রবণতা কমে আসছে। আমরা যখন রাজনীতি করতাম তখন দিনে মধুতে বসে সন্ধ্যায় বিভিন্ন হলের ক্যান্টিনে যেতাম। পাশাপাশি আমরা যখন মফস্বলে প্রোগ্রামে যেতাম তখন বাস আর ট্রেনে করে যেতাম। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজকালের ছাত্রনেতারা বিমানে করে যাওয়ার জন্য টিকেট নিতে অনুরোধ করে। যেটা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের আবার সেইসব অস্তিত্ব ও মূল্যবোধের কাছে ফিরিয়ে যেতে হবে।
রাজনীতিতে শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে এখন সৌজন্যবোধ, শ্রদ্ধাবোধ নেই। এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে সামাজিক অনুষ্ঠান, জানাজায় অংশ নিতেও চিন্তা করতে হয় আমার রাজনীতির ক্ষতি হবে কি না। এটা তো রাজনীতি না। বঙ্গবন্ধু যখন চট্টগ্রামের লালদিঘীতে জনসভায় যেতেন তখন ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাসায় চা খেতেন, তাতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে?
শিক্ষকদের আত্মসম্মানবোধ ছাত্রনেতাদের কাছে বিকিয়ে না দিতে তিনি বলেন, আজকে শিক্ষক রাজনীতিতে ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতে শিক্ষক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমি বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছি শিক্ষকরা ছাত্রনেতাদের তোষামোদ করছেন, খুশি করার জন্য অস্থির হয়ে আছেন। ছাত্রনেতারা শিক্ষেকদের রুমে এসে হুমকি দিচ্ছেন। শিক্ষকরাও এটি মেনে নিচ্ছেন। এই ছাত্রনেতাদের কাছে নিজের আত্মসম্মানবোধ বিকিয়ে দিবেন না। শিক্ষকদের একটা আত্মমর্যাদা আছে। আপনারা নিজের আত্মসম্মানবোধের দিকে একটু নজর দিবেন। এটি না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ