শনিবার (১৩ মে) দুপুরে পিরোজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিশেষ সভা বর্জন ঘোষণা করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকার বাকশালকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ সাংগঠনিক মাহাবুবুল হক নান্নু, সদস্য এলিজা জামান প্রমুখ।
রিপন বলেন, বিশেষ সভায় যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বেধরক লাঠিপেটা করে পুলিশ। তারপর নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিলকিস জাহান শিরিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক সরদার কামরুজ্জামানসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এছাড়াও রিয়াজ সিকদার নামের এক যুবদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে সভা বর্জন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান রিপন।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, শনিবার সকাল ১০টায় আসাদুজ্জামান রিপনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী চৌরাস্তায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হন। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এছাড়াও পুলিশ নেতাকর্মীদের পিরোজপুরের সভায় যোগ দিতে বাধা দেয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান পুলিশকে জানিয়েছিলেন যাদের গলায় কার্ড থাকবে তারা শুধু সভায় অংশ নেবে। অনেকের গলায় কার্ড না থাকায় পুলিশ তাদের চলে যেতে বলে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এনটি/বিএস