রোববার (২১ মে) দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম বাদী হয়ে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন (নম্বর ১৬৭)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ১২ জুন পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে মোট ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
সিটি করপোরেশনের মেয়র/প্রশাসক এ মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলেও শর্ত ছিল।
বরাদ্দকৃত ৯ কোটি টাকা অগ্রিম বিলের মাধ্যমে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে উত্তোলন করে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব হিসাব নম্বরে জমা রাখেন মেয়র। পরবর্তীতে গাজীপুর পৌরসভায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৫টি প্যাকেজভুক্ত কাজের বিল বাবদ ৬ কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং অনুদান বাবদ ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের শর্তানুসারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাজেটভুক্ত কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বা স্যানিটেশন কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি।
শর্ত ভঙ্গ করেই মেয়র ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেয়াদে ওই ৭ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় করেছেন। কারণ, বরাদ্দের এ অর্থ বাজেটভুক্ত কাজ ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যয়ের কোনো সুযোগ নেই।
বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে ও অনুদান বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদনও নেননি এম এ মান্নান।
ফলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান নিজে লাভবান হওয়ার আশায় ও অন্যকে লাভবান করতে বাজেটভুক্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ করেছেন, যা মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার লঙ্ঘন।
এজন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নির্দিষ্ট প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে অর্থ ব্যয় ও নিজে লাভবান হওয়ার আশায় ৭ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয়ের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র এম এম মান্নানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মে ২১,২০১৭
এসজে/আরএস/এএসআর


