বুধবার (২৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদ্য প্রয়াত জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ স্মরণসভা আয়োজন করে বিএনপিপন্থি সংগঠন স্বাধীনতা ফোরাম।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নির্বাচন কমিশন একটা রোডম্যাপ দিয়েছে, ভাল কথা। আমরা সর্বশেষ কথা বলে দিতে চাই। যত রকম রোডম্যাপ দেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৪ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আগামীতেও সেটা হবে না। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলতে চাই, আপনি যতই আইন সংস্কার করেন, যতই ভাল ভাল কথা বলেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন পরিচালিত হয় সরকারের কর্মকর্তাদের দিয়ে। জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও, টিএনও, থানার ওসি। সরকার থাকবে আওয়ামী লীগের। এ কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ থাকবে-তা কোনো দিনও সম্ভব নয়।
এটা আমাদের কথা নয়। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি তত্ত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লিপিবদ্ধ করেছিলেন- বলেন মোশাররফ।
নির্বাচন কমিশন আইনের সংস্কার দাবি করে তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ৭১/৭২টি নির্বাচনী আসন পুনর্গঠন করা হয়েছিল। বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের ফেল করার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এসব এলাকা পুন:নির্ধারণ করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।
ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনে বিএনপি বিশ্বাস করেন না, সাফ জানিয়ে দিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে। এত নতুন টেকনোলজি হয়েছে যে ইভিএম সিস্টেমকে অন্য জায়গা থেকে কন্ট্রোল করা যায়। সবাই ভোট দেবে ধানের শীষে, ট্রান্সফার করে সেটি নিয়ে যাবে নৌকায়।
তিনি বলেন, আমেরিকার মতো জায়গায় প্রমাণ হয়েছে, সুইডেন থেকে শুরু করে ইউরোপের সব দেশ ইভিএম সিস্টেম বাতিল করেছে। সুতরাং আপনারা (ইসি) এটার কথা চিন্তাও করবেন না। জনগণ নিজেদের ভোট নিজেরা দিয়ে রক্ষা করতে পারে না। আর যন্ত্রের ওপর আপনারা (ইসি) বিশ্বাস করবেন এই বাংলাদেশে?
খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, তারা নাকি সহযোগিতা করবে। আমাদের প্রশ্ন, কী ধরনের সহযোগিতা? তারা আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র, তাদের সহযোগিতা আমরা চাই। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভারত যেভাবে একটা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে ক্যাম্পেইন করেছে এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য সহযোগিতা করেছে, এ ধরনের সহযোগিতা আমরা চাই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এজেড/এসএইচ