মানুষের কল্যাণে সবদিক বিবেচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছে ইবাদত হিসেবে।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর ইম্পেরিয়াল হোটেল ইন্টারন্যাশনালের কনভেনশন সেন্টারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনীতির ধারাবাহিকতায় মানুষের কল্যাণ আসতে পারে না। ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার মাধ্যমেই দেশের কল্যাণ ও শান্তি আসতে পারে। ইসলামী আন্দোলন এ রাজনীতিই করছে।
আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, তার দল ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ঘরে বাইরে।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে অংশ নেবে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর জোট গঠন প্রসঙ্গে পীর সাহেব বলেন, সব ইসলামী দলকে নিয়ে তার দল জোট করার পক্ষে। তবে নীতি ও আদর্শের মিল হলেই কেবল তা সম্ভব।
সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলামী দলগুলো বিশেষ করে তার দল দারুণভাবে বৈষম্যের শিকার- এ অভিযোগ করে পীর সাহেব বলেন, আমার সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করি। জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুরের রাজনীতিতে আমার বিশ্বাসী না। বিষয়গুলো যথাযথভাবে গণমাধ্যমে আসলে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে আমরা মনে করি। আমরা এই পরিবর্তনটাই চাই।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রীক দেবীর মূর্তিকে যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করছেন না- তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এটা সরানোর, আমরা আন্দোলন করছি, সংস্কৃতি কর্মীরাও বলছেন এর বিরুদ্ধে। এর পরও সেটা না সরানো গভীর চক্রান্তের অংশ। ১৭ রমজান এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হবে। এরপরও তা না সরালে ঈদের পর সুপ্রিমকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি দেবে তার দল।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল কাদের, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফি, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, বরকতউল্লাহ লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও খন্দকার গোলাম মাওলাসহ অন্যান্য নেতারা।
অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, পাঁচটি মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা দিতে ইসলামী আন্দোলন রাজনীতি করছে।
আশরাফ আলী আকন বলেন, ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা ছাড়া পরিবর্তন হবে না। এ জন্য শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এমএইউ/ওএইচ/