শনিবার (২৭ মে) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ হরতাল পালিত হয়।
হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা খুলনায় পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করেন।
হরতাল চলাকালে নগরীতে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। সকালে যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়।
হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর পিটিআই মোড় থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে জানানো হয়, মিঠু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে বিএনপি খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু প্রমুখ।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল তিন সংগঠনের জেলা শাখার উদ্যোগে নেতাকর্মীরা ভোর ৬টা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল পিকেটিং করেন। তাদের মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা যুবদল সভাপতি শামীম কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হরতালের সমর্থনে মহসিন মোড়ে সমাবেশ করেছে দৌলতপুর থানা বিএনপি। শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম।
শিরোমনি বৈশাখী মার্কেটের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে খানজাহান আলী থানা বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/জেডএস