রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি নিয়ে রায় পুর্নবিবেচনার আবেদন রোববার (৪ জুন) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে মওদুদ আহমদের দখলে থাকা বাড়িটি ছাড়তেই হবে, আইনজীবীরা এমন কথা বললেও মওদুদ বলছেন ভিন্ন কথা।
রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গনেই বাংলানিউজের এক প্রশ্নে মওদুদ বলেন, ‘আদালত বলেননি, বাড়িটি সরকারের। আর সরকারের পক্ষ থেকেও কোনও শর্ত দেওয়া হয়নি, ফলে বাড়িটি ছাড়ার প্রশ্ন ওঠে না’।
মওদুদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়া হবে এটির মূল মালিক অস্ট্রিয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের পরিবারের সঙ্গে। তিনি মারা গেলেও তার ছেলে করিম সুলায়মান বেঁচে আছেন। কাজেই বোঝাপড়া সরকারের সঙ্গে নয়, মূল মালিকের সঙ্গে করবো। আর আদালতও কিছু পর্যবক্ষণ দেবেন’।
সরকার বাড়িটি ছাড়তে বললে কি করবেন- প্রশ্নের জবাবে মওদুদ বলেন, ‘দেশে কি আইন নেই? আমি আইনের আশ্রয় নেবো, আদালতের আশ্রয় নেবো। বাড়ি ছাড়বো না’।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি বিরোধী দলে আছি বলে আজকে এ মামলায় সাত বছর পরে আপিল করেছে সরকার’।
বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির (রাজউক) কাছ থেকে এক বিঘা ১৩ কাঠার এ বাড়ির মালিকানা পান এহসান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রিয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন এহসান। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।
এরপর ১৯৭৩ সালের ০২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আম মোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে বাড়ি আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গুলশানের বাড়ি ছাড়তেই হবে মওদুদকে, রিভিউ খারিজ
বাংলাদেশ সময় ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর/এমএমকে