ওই স্থগিতাদেশের সংশোধন চেয়ে আসামিপক্ষের করা আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
গত ০৮ মে এমপি রানার জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি চারমাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। ছয়মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
ফলে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ আরও চারমাসের জন্য বাড়ে বলে জানান আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী। এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
গত ১৮ এপ্রিল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ০৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে একই দিন শুনানির দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। এর আগে ১৬ এপ্রিল তিনদিনের জন্য জামিন স্থগিত করে ১৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত।
কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ'র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
গত ৩০ মার্চ তার জামিন প্রশ্নে রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এবং ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ রানার জামিনের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। ০৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চও এ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।
বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
পরে আবারও জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়।
এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর