রোববার (১১ জুন) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন কাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোকে রাজনীতি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুঁইফোড় দোকান বন্ধ করে দিতে পারলে দলের জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দোকান হিসেবে পরিচয় পাওয়া এসব সংগঠন চাঁদাবাজিতে জড়িত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের।
দলের নেতাদের এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করে দিন। চাঁদাবাজির দোকানে আপনারা গেলে উৎসাহিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এখন ইফতার পার্টির দাওয়াত নিয়ে আসে। চাঁদাবাজি করে ইফতার পার্টি করার জন্য। ঈদকে সামনে রেখেও তারা চাঁদাবাজি করছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতা থাকলে তাদের বাদ দিয়ে নিজে প্রধান অতিথি না হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে এখানে আমাকে দাওয়াত করেছেন কিন্তু এখানে অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছে। আমি সেখানে প্রধান অতিথি হলে তারা কষ্ট পাবেন। তাই যেখানে সিনিয়র নেতা রয়েছে সেখানে আমাকে প্রধান অতিথি করবেন না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এমইউএম/আরআইএস