সোমবার (১২ জুন) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালত দিন পিছিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
ওইদিন সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহকারী কমিশনারের (এসি) নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার ঘটনা তদন্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
পরে ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ওই দিন প্রতিবেদনটি ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে উত্থাপন করা হলে ওই বছরের ০৮ নভেম্বর বাদীকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন বিচারক।
২০১৫ সালের ০৮ নভেম্বর মামলাটিতে বিদেশে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত সিএমএম লুৎফর রহমান শিশিরের আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‘সম্প্রতি তারেক রহমান তার লেখা একটি বইয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’।
এছাড়া তিনি ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ইয়র্ক হলের অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু নন, তিনি ছিলেন ‘পাকবন্ধু’। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন ‘পাকিস্তানের নাগরিক’। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন ‘হত্যাকারী’।
মামলায় বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের স্থপতি ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত থাকার পরও তারেক রহমানের ওই সকল বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর