এ উপলক্ষে প্রয়াত গৌর চন্দ্র বালার ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবন ‘বালা-বাড়ি’তে গীতা পাঠ, পূজা-অর্চণা, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কদমবাদী ইউনিয়নের উল্লাবাড়ী গ্রামে প্রয়াতের সমাধি মন্দিরে প্রার্থনাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৮ জুন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অ্যাডভোকেট গৌর চন্দ্র বালা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন গৌর চন্দ্র বালা। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের মন্ত্রী দ্বারকানাথ বাড়ুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিপরিষদে প্রথমে বন ও পরে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। সত্তরের নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর-১ আসনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ গৌর চন্দ্র বালা ১৯২৩ সালে অধুনা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের উল্লাবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রাজমোহন বালা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। মা নারায়ণী বালা গৃহিণী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
গৌরচন্দ্র বালা জলিলপাড় পাঠশালা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ভর্তি হন খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউটে। এখান থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যট্রিকুলেশন, ১৯৪৫ সালে খুলনার দৌলতপুর হিন্দু একাডেমি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৪৭ সালে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৪৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (বাংলা) পাস করেন। ১৯৫২ সালে কলকাতা ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে প্রিলিমিনারি এবং ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
আরকেবি/এএসআর