বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাত ৮টা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে থেমে থেমে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- রামশার কাজীপুর গ্রামের মৃত জেহের আলীর ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শাহ (৫৫) ও তার ভাই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহিন শাহ (৩৪) এবং মৃত আব্বাস আলী শাহ’র ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাজাহান আলী শাহ (৩৬)।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পরে রাত ১২টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফটিক শাহসহ ১১ জনকে আটক করেছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম ফিরোজ ও তার ভাতিজা আসাদুজ্জামান আসাদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝে-মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ, মারপিট, মামলা মোকদ্দমা লেগেই থাকতো।
বৃহস্পতিবার রাতে রামশার কাজীপুর বাজারে একই বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসাদের সমর্থকরা ফিরোজের সমর্থক শাজাহান আলী শাহকে বেদম মারপিট করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাহাবুদ্দিন শাহ, শাজাহান আলী শাহ ও ডা. শাহিন শাহ আহত হন এবং একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এ সময় ফিরোজের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা চালালে আসাদের সমর্থকরা বাড়ির ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
ওসি জানান, থানায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৭
এএসআর