ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
‘বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন’ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনের অধিবেশনে ওবায়দুল কাদের-ছবি-বাংলানিউজ

যশোর: বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এই ঈদ না ওই ঈদ, রোজার ঈদ না কোরবানির ঈদ, এ বছর তো ওই বছর বলতে বলতেই ৮ বছরে ১৭টি ঈদ চলে গেলো। কোনো আন্দোলনই হলো না।

এখন আষাঢ় মাস, বিএনপির আন্দোলন শুধু আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন’।

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহরের ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১৭তম বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৫ সালে বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীদেরও রাস্তায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। দেশের কোথাও মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনাকে বরিশাল, ঈশ্বরদী, খুলনা ও সাতক্ষীরায় যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে’।

‘যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল, খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবীর বালু, মঞ্জুরুল ইমাম, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। সে আমলে দেশ রক্তের নদী হয়ে গিয়েছিলো। আর আমরা অঝোরে কেঁদেছি’।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। তোমরা আওয়ামী লীগের সব নেতাকে সন্মান করবে, কোনো গ্রুপের মধ্যে যাবে না। তোমরা কাজ করবে নৌকার পেছনে, কোনো নেতার পেছনে না। ছাত্রলীগের কমিটিতে কোনো মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। গঠনতন্ত্র অনুসারে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তা না হলে অশিক্ষিত, সন্ত্রাসী আর অযোগ্যরা নেতা হবে’।

তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বলেন, শেখ হাসিনা বিভিন্নভাবে জরিপ পরিচালনা করছেন। জরিপের ফলাফল হাতে এলে তৃণমূলের মতামত নিয়ে তবেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। যাদের ইমেজ ড্যামেজ হয়েছে, তারা কোনোভাবেই মনোনয়ন পাবেন না বলেও স্পষ্ট করেন তিনি।  

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ,  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।

যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, বর্তমান সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।