কুমিল্লার ১১টি আসনে ৪৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী এখন নিজ নিজ আসনে মনোনয়ন পেতে লবিংয়ে ব্যস্ত।
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরকারের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে অসুস্থতার কারণে এম কে আনোয়ার নির্বাচন করতে না পারলে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মনোনয়ন চাইবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদ তালিকার প্রথমে আছেন। মামলার কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার মামা ইঞ্জি. সৈয়দ শফিকুল ইসলাম অথবা তার ভাই কাজী মুজিবুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সভাপতি কাজী মো. আমির খসরু, ৯০ দশকের ছাত্রদল নেতা একরামুল হক বিপ্লব ও শিল্পপতি যুবদলের গোলাম কিবরিয়ার নাম শোনা যাচ্ছে।
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, তার স্ত্রী সাজেদা আহসান মুন্সী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান মনোনয়ন চাইবেন।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ আছেন প্রথম কাতারে। আরও মনোনয়ন চাইবেন কৃষকদলের নেতা এ এস এম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া ও বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন।
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর-রশিদ ইয়াছিনের নাম সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়া আছেন জেলা বিএনপি নেতা সফিকুর রহমান সফি ও ফজলুল হক ফজলু।
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে আছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম। পাশাপাশি রয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ।
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন, বিশেষ সম্পাদক আবু নাসের মো. ইয়াহিয়া শারমিন ও যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু ।
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন । এ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এ টি এম আলমগীর, লাকসাম উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিল্পপতি আবুল কালাম (চৈতী কালাম), সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজির আহমদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুব বিষয়ক সম্পাদক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ পাটোয়ারী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক সফিকুর রহমান সফিক।
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণের একাংশ ও নবগঠিত লালমাই উপজেলা) আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের জন্য সব সময় বরাদ্দ থাকে। জামায়াতের আব্দুল্লাহ মো. আবু তাহের অথবা জাপার (জাফর) কাজী জাফর আহমেদ এর আগে মনোনয়ন পেয়েছেন। যদি বিএনপি-জামায়াত জোটবদ্ধ নির্বাচন করে, তাহলে এ আসনে জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ মো. আবু তাহের অথবা প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন। জোটগত নির্বাচন না হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি কাজী নাছিমুল হক, বিএনপি নেতা ভিপি হানিফ, কাজী দুলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. নয়ন বাঙ্গালী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েল, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. কামরুল হুদা, চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপির আহবায়ক জিএম তাহের পলাশী ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক হিরণ মোল্লা মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এএসআর