মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর মুক্তির দাবিতে ‘বরকত উল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদ’ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখনো বাংলাদেশে ভালো মানুষ আছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি যারা আছেন, তারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন বলেই নির্বাচন কমিশনে পরিষ্কার ভাষায় তারা তাদের মতামত দিয়ে এসেছেন।
আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা (সুশীল সমাজের প্রতিনিধি) পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন- সহায়ক সরকার ছাড়া অর্থাৎ নিরপেক্ষা সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তারা বলে এসেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়ন ও তাদেরকে ম্যাজেস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না-বলেন বিএনপির মহাসচিব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা ভাল করে জানি। জানি বলেই বলেছি, তিনি নিরপেক্ষ ব্যক্তি নন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন।
পরবর্তীকালে সরকারি চাকরির নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘জনতার মঞ্চে’ গিয়ে তিনি চাকরি হারিয়েছেন। নীল নকশার মাধ্যমে জনগণকে বোকা বানিয়ে সেই ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা এবং জনগণ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছিলাম, সেভাবে হয়নি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর কোনো দিন হবে না প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহণেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। এর ব্যাত্যয় হতে দেবে না জনগণ।
‘বরকত উল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদ’র সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাবস, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এজেড/এসএইচ