শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব ) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা আগে চার লাখ এবং এবার পাঁচ লাখসহ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে । এতে করে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অব্যস্থাপনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করলো, তখন আমরা বলছিলাম অতীতে যেভাবে এদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবে এবারও দেওয়া হোক। কিন্তু সেটি না করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করেছে।
অবশেষে সারা বিশ্ব যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, তখন রোহিঙ্গাদের নিতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার । নিয়েছে, কিন্তু তাদের জন্য সুব্যবস্থা করতে পারেনি । এখনো পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে- বলেন ফখরুল ।
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের গণহত্যার কথা উল্লেখ না করায় এবং নিন্দা না জানানোয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণহত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল । এটা বার বার বলতে হবে এই জন্যই যে, বিশ্বজনমত তৈরি করে আমাদের হাত শক্তিশালী করতে হবে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে ।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'র (জেটেব) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো : ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমিন আকন্দের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেসবাহ, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক গাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২ , ২০১৭
এজেড/আরআই