পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
অবরোধ চলাকালীন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের অবরোধ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমতলী ও তালতলী উপজেলাসহ বরগুনা সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন আমতলী উপজেলা শাখা, তালতলী উপজেলা শাখা ও বরগুনা সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় গঠনতান্ত্রিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রকৃত ছাত্রলীগ কর্মীদের কোণঠাসা করে জামায়াত-বিএনপি পরিবার থেকে আসা সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করে। তাই আমরা এসব কমিটি প্রত্যাখান করছি। সেইসঙ্গে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক জামায়াত-বিএনপিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই।
এসময় তারা আরো বলেন, সদ্য ঘোষিত আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি মো. মাহাবুবুল ইসলাম ৫ কেজি গাঁজাসহ র্যাবের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন। একজন মাদক ব্যবসায়ী কী করে ছাত্রলীগের মতো একটা ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সভাপতি হয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। সেইসঙ্গে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সরোয়ার হোসেন স্বপনের বাবা বেলায়েত হোসেন পনু জোমাদ্দার তালতলী থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন। সভাপতির আপন মামাতো ভাই সবুজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি। আপন ফুফাতো ভাই তালতলী উপজেলা জামায়াতের নেতা।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, থানা পুলিশ ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে লাঠিচার্জ করেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ধাওয়া করে। এসময় হয়তো তারা আহত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
আরএ