সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাতে সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ এপ্রিল দিনগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২৪ ব্যক্তিকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক (সাবেক হল শাখা সভাপতি) খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল শাখার সহ-সভাপতি মুর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতি আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী, আর্থ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট সায়েন্স শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার সুমী, চারুকলা শাখার উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা।
বহিষ্কৃত হয়েছেন লিজা (নাট্যকলা বিভাগ), মিথিলা নুসরাত চৈতি, (নাট্যকলা বিভাগ), সোনম সিথী, (সঙ্গীত বিভাগ), সুদীপ্তা মন্ডল (চারুকলা), প্রিয়াংকা দে (সঙ্গীত বিভাগ), শারমিন সুলতানা (নৃবিজ্ঞান বিভাগ), মিতু (উর্দু বিভাগ), শিলা (ভূতত্ত্ব বিভাগ), জাকিয়া (ভূতত্ত্ব বিভাগ), মনিরা (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) রুমা (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ), জুঁই (শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ), অনামিকা দাশ (চারুকলা), প্রভা (সঙ্গীত বিভাগ), তানজিলা (বাংলা বিভাগ) ও তাজ (সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ)।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাকে কী জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সেটা আমি নিজেও জানি না। আমি এক বছর ধরে হলের বাইরে থাকি। আমাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়নি। ’
গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ১০ এপ্রিল সুফিয়া কামাল হলে সাধারণ ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর সেদিন রাতেই তাকে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কার করে। ঘটনার পরদিন এশাকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/