মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি এ দাবি করেন।
হুইপ আতিক বলেন, আমি নির্দোষ।
তিনি আরো বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। সততার সঙ্গে রাজনীতি করি। আমি গ্রাম থেকে উঠে এসে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছি। আমি কলেজের একজন প্রিন্সিপাল। কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
তবে দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফীন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত চলছে। অভিযোগটি নতুন নয়। পুরনো। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় তদন্ত বন্ধ ছিলো। এখন আবার তা শুরু হলো। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়েই তদন্ত শেষ হবে।
সকালে দুদকের উপ-পরিচালক কেএম মিছবাহ উদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে ১৭ এপ্রিল তাকে হাজির হতে বলা হয়। ওই চিঠিতে দুদকের উপ-পরিচালক কেএম মিছবাহ উদ্দিনের স্বাক্ষর ছিল।
হুইপ আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়েছে, বিলাসবহুল বাড়ি কেনা, গ্রামের বাড়ি কামারিয়ায় ৩০ একরের বাগানবাড়ি, ঢাকার বনশ্রীসহ অভিজাত দু’টি এলাকায় দু’টি প্লট, ধানমন্ডি ও গুলশানে দু’টি ফ্ল্যাট, নামে-বেনামে শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জন, নিয়োগ বাণিজ্য, টিআর, কাবিখা ও স্কুল-কলেজের এমপিও থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরএম/এসআই