বুধবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে 'আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ' আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আমির খসরু বলেন, নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চেয়েছিলো।
‘নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা হলেও তারা সেই ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারছে না। কেননা তারা সরকারের দ্বারা প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত। আমরা জনগণের প্রত্যাশা অনুসারে নির্বাচন কমিশনে এ দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেনা মোতায়েনে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। ’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে তারা গণতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছে। এছাড়া সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে যে কয়টি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে কোনোটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তাই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন অত্যন্ত জরুরি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বা মালিকানা একটি গোষ্ঠীর কাছে চলে গেছে। যে কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এদেশের মূল ক্ষমতার মালিক বা দেশের মালিক যারা তারা দেশকে অবশ্যই হ্যাকারদের হাত থেকে উদ্ধার করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রথা তারা অনেক আগেই উৎখাত করেছে।
এসময় তিনি খালেদা জিয়াকে 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' অর্থাৎ 'গণতন্ত্রের মা' বলে আখ্যায়িত করেন।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, সাঈদ আহমেদ আসলাম, ইউনুস মৃধা, মো. জাফরুল, আকবর হোসেন ভুইয়া নান্টুসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএএম/এএ