বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন দাবি করেন বিএনপি মনোনীত খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এসময় তিনি বলেন, আমরা একটি গাড়ি আছে, যেটি আমি এমপি থাকাকালীন শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেয়েছিলাম।
‘খুলনাবাসী আমাদের কাছে সঠিক নেতৃত্বের আশা করে। আমরা নেতৃত্বে থেকে আগামীর জন্য সৎ, যোগ্য ও আর্দশিক রাজনীতিবিদ গড়ে তুলতে চাই। যাতে কোনো ব্যবসায়ী এসে আমাদের পদ-পদবি কেড়ে নিতে না পারেন। ’
মঞ্জু বলেন, হঠাৎ একটি সংবাদ আমাদের চিন্তায় ফেলেছে- আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ সাহেব এসে খুলনার প্রবেশদ্বারে মিটিং করেছেন। নেতারা আসবেন। শহরে বসেই তাদের কাজ করবেন। দৃষ্টি আড়াল করার জন্য এ ধরনের কূটকৌশল বর্জন করবেন। এটা জনগণ সন্দেহ করে, যে কোন বার্তা নিয়ে এসেছেন? কি করতে চান? এ ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিক চোখ-কান খোলা রাখবো যাতে প্রশাসনকে সরকারি দলের কোনো নেতা কোনো মেসেজ দিতে না পারেন।
‘আমি সীমিত আয়ের মানুষ। আমার বাবার একটি বাড়ি আছে, দু’টি বিল্ডিং চারতলা ও একতলা। সেখান থেকে ত্রিশ/বত্রিশ হাজার টাকার মতো ভাড়া পাই। আমি কয়েকবার ব্যবসা করার চেষ্টা করে উদ্যোগ নিয়েছি; আমার আর মনি ভাইয়ের একটি যৌথ লাইসেন্স আছে সিঅ্যান্ডএফ’র। যদিও সেটায় কাজ করা যায় না। আমি নিজে কয়েক বছর চেষ্টা করেও মোংলা বন্দরের কোনো কাজ ধরতে পারি। যেখানেই কাজ ধরতে যাই, সেখানেই তালুকদার সাহেবের হস্তক্ষেপ। সেই ব্যবসায়ীকে বলে দেওয়া হয়, মঞ্জুকে কাজ দিলে জাহাজ থেকে এখানে মাল নামানো যাবে না। ’
কথাটি আমি খালেক সাহেবকে বলেছি, যে আমরা কি না খেয়ে থাকবো? ‘আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরামির কথা বলতে চাই না। আমার স্ত্রীর ও আমাদের বাড়ি ভাড়া মিলে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা বার্ষিক আয়। আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ তাদের মামারাই বহন করেন। আমার স্ত্রীর পরিবার সম্পর্কে সবার জানা। এই শহরের একটি ধনাঢ্য পরিবার।
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা নেই, আমার নামে কোনো ইউনিভার্সিটি নেই। অথচ যারা এর মালিক হয়েছেন তারা চালনের একটি ছিদ্র দেখলেই হাস্যরস করেন, হাজারো ছিদ্র বাদ দিয়ে। সেই প্রার্থী আমাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন; হুমকি দিয়ে লাভ নেই। কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমাদের মঞ্জু ভাই, মোর্ত্তজা ভাই, এজাজ ভাই, ডালিম ভাই, ফকরুল ভাই বলে ডাকেন; আমরা সাহেব নই।
একটি পত্রিকায় এমপি মিজান সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ দেখে খারাপ লেগেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানকে বহুবার বলেছি, খারাপ মানুষ নিয়ে ঘুরেন না। ইমেজ সংকটে পড়বে। আমার চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ইমেজ সংকটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাহলে কোনো ব্যবসায়ী আমাদের পদ-পদবি নিতে পারবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, সহ-সভাপতি খান আলী মুনসুর, মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মুশাররফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমআরএম/এএ