গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৮ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোট ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৬ জন।
নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় গাজীপুর ও টঙ্গী আলাদা দু’টি পৌরসভা ছিলো। এ দুই পৌরসভার মধ্যে গাজীপুরের চেয়ে টঙ্গীতে ভোটার সংখ্যা ছিলো বেশি, এখনো তাই রয়েছে। টঙ্গীতে রয়েছে একটি বিসিক শিল্পনগরী। এছাড়াও এখানে বিপুল মানুষের বসবাস।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান উদ্দিন সরকার। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গাজীপুর সদরে এবং মো. হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ি টঙ্গী এলাকায়। দুই এলাকার বাসিন্দারাই চাইবে তাদের নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাকেই নির্বাচিত করতে।
তরুণ এবং কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে মো. জাহাঙ্গীর আলমের সুনাম রয়েছে। অন্যদিকে মো. হাসান উদ্দিন সরকার দীর্ঘ দিনের রাজনীতি এবং টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করায় তার পক্ষেরও জনসমর্থন রয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে প্রার্থীরা। প্রার্থীদের যোগ্যতা, অতীত কর্মকাণ্ড, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন বিষয় এবার ভোটারদের প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের প্রভাব ফেলবে।
বিএনপির প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার সাবেক শ্রমিক নেতা হিসাবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আগে থেকেই শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে তিনি কাজ করে আসছেন। এ কারণে শ্রমিকদের সমর্থন ও সহানুভূতি তার পক্ষে কাজ করবে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তরুণ ভোটারদের লক্ষ করে নানা বক্তব্যও দিয়ে আসছেন তিনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে সব সময় নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি বলে আসছেন। শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায় নিয়ে তারও ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া তরুণ ভোটারদের সমর্থনও তার বেশি।
টঙ্গীর পাগাড় এলাকার বাসিন্দা ওসমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘যাকে সব সময় কাছে পাবো আমি চাইবো তাকেই নির্বাচিত করতে। সেদিক থেকে আমার বাড়ি টঙ্গীতে আমি চাই টঙ্গী এলাকার বাসিন্দাই মেয়র পদে নির্বাচিত হোক। ’
টঙ্গী কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এলাকার প্রার্থী রেখে বাইরে যাবো কেন? আমার এলাকার প্রার্থী নির্বাচিত হলে তাকে সব সময় কাছে পাবো। আমি চাই আমার এলাকার প্রার্থীই গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হোক। ’
এ দিকে কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথমত এলাকার কোনো প্রার্থী থাকলে সে যোগ্য প্রার্থী কিনা তা দেখে ভোট দিবো এবং তাকেই নির্বাচিত করবো। অঞ্চল হিসেব তো করতেই হবে। কারণ এলাকার মানুষ যেকোনো বিপদে-আপদে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই এলাকার প্রার্থীকে নির্বাচিত করবো। ’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্ব ২৪ এপ্রিল এবং ১৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
আরএস/জিপি