রোববার (২২ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিপরীতমুখী অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২১ এপ্রিল) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের কর্মী লিখন সভাপতি শাহিনুর রহমানের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত ও বন্ধনকে দলীয় গ্রুপ পরিবর্তন করতে বলেন। এসময় লিখন তাদের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে ওইদিন রাত প্রায় একটার দিকে আইন ভূমি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আপেল তাদের মোবাইলে কল দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসতে বললে রিফাত অস্বীকৃতি জানান। এতে আপেল, পিয়াস ও লিখনসহ ৭-৮ জন লালন শাহ হলে এসে রিফাত ও বন্ধনকে ডেকে জিয়া হল মোড়ে নিয়ে যান।
এসময় রিফাতকে সিগারেট জ্বালাতে বলেন তারা। পরিস্থিতি খারাপ দেখে রিফাত ও বন্ধন ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে গেলে আপেল, পিয়াস ও লিখনসহ ১০-১৫ জন মিলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। পরবর্তীতে মার খেয়ে রিফাত ও বন্ধন ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হয়।
ঘটনা জানাজানি হলে রোববার সকাল থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দুপুর একটার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন গ্রুপের রিফাতসহ তার বন্ধুরা ক্যাম্পাসের দলীয় টেন্টে বসে। এসময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী লিখন, আপেল, সীমাসহ পাশের রাস্তায় হাঁটছিলেন। তাদের দেখে সভাপতি শাহিন গ্রুপের কর্মীরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন।
একপর্যায়ে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পর সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা।
এসময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি দলীয়ভাবে সমাধান করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
আরএ