মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৫ম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে একসঙ্গে এতো শ্রমিকের প্রাণ যেতো না।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, লোভের বলি হয়ে মানুষগুলো রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। যারা বেঁচে আছেন, তাদের অনেকে অঙ্গ হারিয়ে, কর্মহীন হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। এতিম হয়ে পড়েছে অনেক শিশু। এই এতিম সন্তানদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা চিকিৎসার অভাবে এখনো কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
ধসে পড়া ভবনের জায়গায় শ্রমিকদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের চার বছর পার হয়েছে। জমিটি সরকারের অনুকূলে নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন সেটি খালি পড়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
দুর্ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে নিহতদের আত্মা শান্তি পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দলের নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এম এন শাওন সাদেকী, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস