বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সমর্থন জানান সংগঠনের নেতারা।
২১ দফা দাবি উত্থাপন ও আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেককে সমর্থন প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে কেসিসি নির্বাচন গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৮ বছর পার হতে চলেছে। এ সময়কালীন নগরবাসী ৬ জন মেয়র পেয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন অনির্বাচিত মেয়র। এ ২৮ বছরে বিএনপি’র ২ জন মেয়র ক্ষমতায় ছিলেন প্রয়াত শেখ তৈয়বুর রহমান ১৭ বছর এবং মো. মনিরুজ্জামান মনি প্রায় ৬ বছর। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র ছিলেন মাত্র ৫ বছর। তালুকদার আব্দুল খালেক চার ভাগের একভাগেরও কম সময়ে খুলনাবাসীর কাছে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। যা খুলনাবাসীর কাছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
খুলনা নগরীর একজন মানুষ বা ভোটার হিসেবে নগর উন্নয়নের বিচার করতে আগ্রহী। মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমান, মকবুল হোসেন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মোকাদ্দেস হোসেন, এসএম জাহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, খলিলুর রহমান, সুবির রায়, শাহিন জামান পন, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ববি, এসএম জিয়াউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, শ্যামল সিংহ রায়।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা কেডিএ এভিনিউকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিনিউ নামকরণ করতে হবে এবং নগরীর বিভিন্ন সড়ক স্থাপনা ও নাম জাতীয় পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্টজনদের নামে করতে হবে। খুলনাতে নতুন পাঁচটি মানসম্পন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। গোলকমনি শিশুপার্ককে আধুনিকায়ন ও দৌলতপুরে এবং খালিশপুরে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটি পার্ক স্থাপন করতে হবে। মাদকমুক্ত নগরী গড়তে এবং নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ ২১ দফা দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/