বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৮ তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিক শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও ইতিহাস অনুসারে বাঙালি পরিবর্তনে বিশ্বাসী।
কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু আর তা বাস্তবায়ন করেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যাপক অবদান রয়েছে। আর এ স্বপ্নটি বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। আর তা বাস্তবায়ন করে হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুদিন আগে আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশিত দাবি মেনে নেওয়ার জোরালো আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা ক্লিনিকের বাইরে গিয়েও তাদের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু মনে রাখবেন মাঝখানে অন্য সরকার এসে আপনাদের চাকরি খেয়েছিলো। কিন্তু আপনাদের আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই আপনাদের আরও উন্নতি চাইলে এই সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের অত বেশি অর্থ নেই। তারপরও আমাদের যতটুকু সাধ্য আছে তা দিয়ে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও আমরা সারাদেশে ১০ হাজার নার্স ও ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আরও ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেবো। ওষুধ শিল্পে আমরা ব্যাপক সফলতা ও উন্নতি লাভ করেছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল, স্বাস্থ্য সচিব ডা. ফয়েজ আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. ভ্যালেরিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহাসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের দোড়গোড়ায় মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি অধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম। ১৯৯৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর এই সেবা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত 'রেভিটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে আবার এ কার্যক্রম চালু হয়। বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক সারাদেশে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও বিভিন্ন রকম সামাজিক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮
এমএএম/আরআর