পরে আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রধান ফটক খুলে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে চাকরির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম ও চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান ছাত্রলীগ কর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করেন।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী তাদের এ দাবি নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আরো বলেন, উপাচার্যের কাছে চাকরির দাবি নিয়ে গেলে তিনি আমাদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে ছাত্রলীগের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি। কৈফিয়ত দিতে হলে তার কাছেই দেব। ’
উপাচার্যের পক্ষ থেকে চাকরির আশ্বাস না পেয়ে দুপুর ২টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান, আনিসুর রহমান লিটন, আবুল খায়েরসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে।
এসময় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী শিক্ষার্থী বহনকারী দুপুর ২টার বাস প্রধান ফটকে আটকা যায়। পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে আবারো উপাচার্যের সঙ্গে বসার আশ্বাস দেন। এ আশ্বাস পেয়ে আড়াইটার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রশাসনের সাড়া পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে আবারো উপাচার্যের কার্যালয়ে যান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আবারো প্রধান ফটকে তালা দেয় চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
আরএ