সোমবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
তিনি বলেন, সরকার জন আতঙ্কে ভুগছে। তারা জনগণ দেখলেই ভয় পায়। এজন্য বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। সরকারের এমন অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
রিজভী বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা এমন কথা নেই যা বলছেন না। এই সরকারের পতন হলে এই নেতারাই সবার আগে উল্টো কথা বলবেন। যা বলেছিলেন ১/১১ সরকারের সময়।
গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সংবিধানের ১২৫ এর (গ) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, সেখানে বলা আছে ‘কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করে অন্তবর্তী বা অন্য কোনো উপায়ে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবে না। ’ তিনি প্রশ্ন করেন তাহলে এটা কিভাবে হলো?
তিনি আরও বলেন, রোববার (৬ মে) খুলনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি তাই হয় তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব হলো, এটা আমার জানা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৮
এমএইচ/আরআর